বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২৫

একজন মানবিক শিক্ষক শরফুদ্দিন ইশতিয়াক

  • হাসান মেহেদী:
  • ২০২৪-০১-০২ ১৯:৪৮:৪৫
মানুষের জন্য কিছু করতে পারার মধ্যেই তাঁর যত আনন্দ। তাই তো কখনও ছুটে যান রাস্তার ধারের ছিন্নমূল মানুষের কাছে খাবারের প্যাকেট নিয়ে। কখনও আবার কোন এতিমখানায় মলিন মুখগুলোতে এক চিলতে হাসি ফোটাতে। আবার হাফেজি মাদরাসার গরিব ছাত্রদের হাতে তুলে দেন পবিত্র কুরআন শরিফ আর পাজামা পাঞ্জাবি। সীমিত আয়ের একজন স্কুল শিক্ষক হয়েও কেবল মানুষের জন্য কিছু করতে পারার আনন্দ থেকেই তিনি ছুটে যান অসহায় বঞ্চিত মানুষগুলোর পাশে। এ কাজে নিজের অর্থ খরচ করার পাশাপাশি তাঁর ছাত্রছাত্রী কিংবা কোন শুভানুধ্যায়ী স্বেচ্ছায় এগিয়ে এলে তাঁদের কাছ থেকেও সাহায্য নেন তিনি। বলছিলাম হালিশহর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক সৈয়দ শরফুদ্দিন ইশতিয়াকের কথা। গেলো ২০২৩ সালের তাঁর কয়েকটি কার্যক্রমের মধ্যে হলো ৪ টি মাদ্রাসায় ও ৫টি এতিমখানায়খাবার বিতরণ, ছিন্নমূল মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ, প্রতিবন্ধীদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ। পবিত্র রমজান মাসে গরিবদের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ। হাফেজি মাদরাসার ছাত্রদের জন্য পবিত্র কুরআন শরীফ বিতরণ, মাদরাসায় আসবাবপত্র প্রদান, শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, গরীব ছাত্রছাত্রীদের পোশাক প্রদান, শীতবস্ত্র বিতরণ ইত্যাদি। এছাড়াও তিনি গত বছর মসজিদের দেওয়ালের জন্য রং, টিন, কার্পেট, নগদ অর্থ প্রদান করেছেন তাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী। কোথাও চিকিৎসার অভাবে অসুস্থ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে খবর পেলে শরফুদ্দিন ইশতিয়াক ছুটে যান চিকিৎসা সহায়তার জন্য। গত বছর এরকম বেশ কয়েকজন রোগীকে তিনি নিজের খরচে চিকিৎসা করিয়েছেন। একজন সীমিত উপার্জনের স্কুল শিক্ষক হয়ে কেনো এতো কিছু করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আল্লাহর সৃষ্টি মানুষ হিসেবে মানুষের সেবা করা আমাদের স্রষ্টা প্রদত্ত দায়িত্ব। এটি ইবাদতের অংশ। এছাড়াও একজন অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর মধ্যে যে আনন্দ, তা দুনিয়ার আর কিছুতে পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে তিনি তাঁর মানবিক কাজকে আরো সম্প্রসারিত করবেন।

এ জাতীয় আরো খবর