দুশোবছর ধরে মধ্যবিত্তের জ্বর যায় না, থেকে থেকে কেঁপে কেঁপে ওঠে; এতোটা বছর ধরে এরাই সিভিল কান্ট্রি, কালচার, সোসাইটি বিনির্মাণ করে চলেছে বিনিময়ে কপালে জুটেছে বহুবিবিধ বৈষম্য...
নীতিনির্ধারকদের অনেকের ভাগ্যবদল হয়, অথচ এদেরটা পড়ে থাকে, পরে হবে এমন আশাও নেই; তারপরও মধ্যবিত্ত স্বপ্ন দেখে, স্বপ্ন দেখায়--জাতির অয়োষ্কান্ত সময়ে আশা জাগিয়ে রাখে--সংকটে কোরক হয়ে সামনের সারিতে মাথা ও মন দিয়ে রাখে ! যে কোনো সংকট উত্তরণে এরাই...
সেই মধ্যবিত্ত সারাটা জীবন দেশ, মানুষ, সমাজ চিন্তায় মগজের ওপরে থাকা সুদর্শন চুলের গোছা হারিয়ে "গ্রোথ ইজ ইক্যুয়িটির" স্লোগান দিতে দিতে কোমরের পান্তালুন ঢিলে, তেলচিটচিটা রঙের মেটাফর হয়ে গেছে; অথচ উন্নতি, সমৃদ্ধি সব উপরঅলার ভাগ্যে লেখা থাকে, উচ্ছিষ্ট কিছু নীচঅলা পায়। এইটা তো পুরো পুঁজি পৃথিবীর কুঁজো শংসাবচন...
আর্শিবচন হলো স্বপ্ন ও সত্য দুই'ই বাঁশের দোলঙের মতো ; চুপিচুপি, টাপুরটুপুর চোরাবালিতে চলমান জীবনের গল্পগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় তারপরও মধ্যবিত্ত ধরে রাখতে যায় আশা, স্বপ্ন--ধরে রাখে মান, রাখতে চায় ধরে ইজ্জতদারী...
একদিন বিদ্যুচ্চমকের মতো মধ্যবিত্ত ও এদের গল্প উড়ে যায় চোরকাঁটা হয়ে চুলেচুলে; একসময় চটকে যায় উকুনের সাথে দুই আঙুলের উল্টাপিঠ...
এভাবে শত শত বছর মধ্যবিত্তের কিছু গল্প নিষ্ঠুর নঙর্থক হয়ে ব্ল্যাকশেপে মুদ্রিত হয় বাকী সবের আস্তানা মেলে অন্তিম অন্ধকারে...