এমন একটা ভালোবাসা পাবার খুব ঈর্ষা হয় :
ঈর্ষার কোনো কারণ নেই, তাও সে জ্বলতে থাকে,
অহেতুক জল্পনা-কল্পনা করে, ভিতরে ভিতরে কষ্ট পায়,
আমাকে দু’মিনিট না পেলে, ফুঁসে উঠে ভয়ে, আতঙ্কে।
যে অতীতের সব প্রেমিকদের নজরে রাখে।
হারাবার কোনো ভয় নাই, তাও প্রতিক্ষণ –
আলো, ছায়া, মায়া দিয়ে পাহারা দিয়ে রাখে।
রাস্তার বখাটে ছেলেদের সাথে মারামারি করে বলে আসে –
‘ইভানা শুধু আমার, আমি তাকে ভালোবাসি/বাসবো টিল মাই লাস্ট ব্রেথ’।
এরকম একটা ভালোবাসা জয়ের খুব শখ হয় :
যে অতীত/ভবিষ্যতের সব প্রেমিকাদের বলে দেয় –
‘আমি পেয়েছি, বুঝেছি, প্রকৃত প্রেমের স্বাদ, যা কোনো প্রলোভনে, দায়িত্বে, চাকচিক্যে বিস্বাদ হবার নয়’।
তাদের পাশে শুয়ে, আমাকে না পাবার কষ্টে ছটফট করে, তড়পায়,
ঘুমের মধ্যে ডেকে উঠে আমার নাম।
চোখ ছলছল রাস্তাঘাঁটে খুঁজতে থাকে আমাকে,
যে কোনো মেয়ের অবয়বে দেখতে পায় আমার অবয়ব।
জপতে থাকে ‘মিস ইউ–মিস ইউ-মায়া লাগে’।
পাঁচ মাইল হাঁটার পর মনে হয়, আর একটু হাঁটলেই দেখা মিলবে আমার।
আমার রূপ, গুণ, অর্থ, প্রতিষ্ঠা কিছু নেই, নির্ভার - তাও ভালোবাসে।
সব দায়িত্ব অবহেলা করে, সারাদিন শুধু আমাকে নিয়ে থাকে –
বাস্তবে, কল্পনায়, মনেমনে, বাইরে, শ্বাসেশ্বাসে।
১২ ঘণ্টা শুধুই আমার সাথে প্রেমালাপে ব্যস্ত, কানে ফোন চেপে।
এমন একটা প্রেমের স্বত্ব লাভের লোভ হয় :
এমন ভালোবাসা -
যে প্রতিক্ষণ, প্রতি মুহূর্ত স্রষ্টার কাছে আর্তনাদ করে –
‘আমাদের মিলিয়ে দাও’।
জায়নামাজে দোয়া করে – আমার সুস্থতা আর দীর্ঘায়ূর জন্য।
না ভালোবাসার একশো একটা কারণ থাকা সত্ত্বেও –
ভালো না বেসে না থাকতে পারার যন্ত্রণায় কাতর থাকে।
পিষে ফেলে, মাটিতে মিলিয়ে যায়, গুড়োগুড়ো হয়ে যায়;
তাও আবার সকাল বেলা অবশ্যম্ভবী সূর্য হয়ে উঠে যায় পূর্ব আকাশে।
পৃথিবী মরে গেলেও সে উঠতে থাকে অনন্তকাল –
রুটিন করে অথবা চরম অসহায়ত্তে, না উঠে না থাকতে পেরে।