আকাশে বাতাসে রব উঠেছে
ধর্ষিতা নারীর আর্তনাদে
অসহায় নারীর নষ্টা জীবন
কাটে অসম্মান আর অপবাদে।
কুলষিত এই কদাকার সমাজে
যৌবনের কঠিন নগ্ন অভিসাপে
কত নানান বয়সের শিশু, নারীর ললাটে
ধর্ষিতার অপবাদ দেয় যে লেপে।
সমাজে তারা নষ্টা, কলঙ্কিত
নির্জীব থেকেও কেউ কেউ থাকে জীবিত!
ছুটে যায় সমাজ-প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে-
একটু সুবিচারের আশায়।
অশ্লীলতার তাণ্ডবে যে ডুবে আছে সমাজ
সমাজে আজ ধর্ষক ব্যক্তির বহুরূপী সাজ,
ধর্ষিতা সমাজ-প্রশাসন প্রশ্নে প্রশ্নে করে জর্জরিত
প্রশ্ন বানে বারংবার তারা-
হয় যে আবার ধর্ষিত ।
যেন ধর্ষিতা কোন চাকুরীর জন্য-
দিচ্ছে মৌখিক পরীক্ষা,
এক টেবিল শেষে অন্য টেবিলে
করছে সুধীজন তার প্রতীক্ষা!
প্রমাণের জন্য ডাক্তার বাবুরা
করে তাদের উলঙ্গ,
কামনার দৃষ্টিতে স্পর্শকাতর স্থানসহ
পরীক্ষা করে যৌনাঙ্গ!
এভাবেই বাবুরা ধর্ষিতার সাথে
নেয় যে রোমাঞ্চকর সঙ্গ।
বাবুদের পরে আসে আবার
মিডিয়াদের সাঙ্গ,
প্রশ্নে প্রশ্নে ধর্ষিতাকে-
করে তারা আবার উলঙ্গ !
নানান প্রশ্নে জানতে চায় ওরা
ধর্ষণের সব খুটিনাটি,
যেন তাঁরা লিখতে এসেছে
গোপন বইয়ের চটি।
বিচার চাইতে পিছপা কেন আজ
ধর্ষিতা নারীর পরিবার,
সমাজ-প্রশাসন-ডাক্তার-মিডিয়ারা
ধর্ষণ করে যে বারবার!
ধর্ষকমুক্ত সমাজ গড়ার
করি সবাই পণ-
ঘৃণ্য মানসিকতা মন থেকে
মোরা করিবো বর্জন,
দিন বদলের শ্লোগান উঠুক
জাগুক সর্বজনে মানবিকতা,
আশ্রয়, প্রশ্রয় দেবো না আর
আছে যত অশ্লীলতা।