শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২৫

হা বি বা লা ব নী

  • শরতের আয়মান গাঙ
  • ২০২৩-১০-২৯ ২১:৩১:২১

কাশবনে ছাওয়া শরতের আয়মান গাঙ্গের ধারে খাড়াইয়া
কাঁপন ওঠাইন‍্যা গলায় আমারে কইছিলা,
--তোমারে আমি বড় ভালা পাই। 
কথাখান কইয়া চক্ষের পলকে তুমি চইলা গেছিলা। 
আর আমার দুই চক্ষের পানি টপটপ কইরা 
গাঙ্গের পানির লগে মিইশ‍্যা যাইতেছিল।
এতডাই সুখ লাগছিল মনের মধ‍্যে
য‍্যান ঝাপাইয়া পড়ি গাঙ্গের বুকে।
সেই থেইক‍্যা এই আয়মান গাঙ
আমার জিন্দেগীর লগে জোড়া লাইগ‍্যা গেছে।
হেই টানেই তো বারবার ছুইট‍্যা আহি এই গাঙ্গের ধারে। 
আর অহন সইবার পারনা!
আমারে কও আমি নাকি এই গাঙ্গের পিরিতে মজছি। গাঙ্গের লগে হিংসা কইরা তুমি জ্বইল‍্যা ওঠো।
তোমার মনে আছে?
তোমার পরথম ছোয়া পাইছিলাম আমি; এই গাঙ্গের ধারেই। 
ওইদিনের কতা মনে অইলে এহনো আমার গায়ে কাঁটা দেয়। 
কাপুনি উইঠা শইলডা আমার শীতল অইয়া যায়।
তয় কেমনে ভুলমু আমি!
এই গাঙ্গের ধার; গাঙ্গের পানি;ছোড বাশের সাঁকোখান। তোমার মনে আছে?
চাঁন্দি রাইতে ওই সাঁকোতে বইসা আমরা
গাঙ্গের পানিতে চান্দের খেলা দেখতাম।
আমার মেঘের লাহান কালা হাটুসমান চুলের গন্ধে
তুমি পাগল অইয়া আমারে জড়াইয়া রাখতা।
পরানের গহীনে যে বোল ওঠতো হেই সুমে,
তা কি আর ভুলবার জো আছে!
কই গেলো তোমার ওই পিরিতি!
আমার যে এহনো ঘোর লাগে;
ওই টলটলা পানির আওয়াজ শুইন‍্যা।

 


এ জাতীয় আরো খবর