ঘুরে আসুন কেশবপুরে মীর্জানগর হাম্মামখানা
- খন্দকার আব্দুস সালাম
-
২০২৩-১০-০৬ ২৩:৫২:৩১
- Print
যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার পশ্চিমে ত্রিমোহনী নামক জায়গায় অবস্থিত এই মির্জানগর হাম্মামখানা। লোক মুখে নানা প্রচলিত কাহিনী আছে এই হাম্মামখানা টি কে ঘিরে। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ১৯৯৬ সালে এটিকে পুননির্মাণ করে ও একটি ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ১৬৪৯ সালের মির্জা হাফসি নামক ব্যক্তি এ অঞ্চলের ফৌজদার নিযুক্ত হন। সম্পর্কে তিনি বাংলার সুবেদার শাহ সুজার আত্মীয়।
মির্জা হাফসি ত্রিমোহনী এলাকায় বসবাস করতেন বলে এই এলাকার নাম হয় মির্জানগর । মির্জানগরে গড়ে ওঠা সেই সময়ের নবাব বাড়িগুলোর ধ্বংসাবশেষ এখন অবশিষ্ট আছে। হাম্মামখানার পূর্ব পশ্চিম দিকে এগুলো লক্ষ্য করা যায়। এর চারিধারে পুকুর খনন করা হয় সেই সময়। প্রায় ১০-১২ ফুট উঁচু প্রাচীর বেষ্টিত হাম্মামখানা টি সেই সময় কামান দ্বারা সংরক্ষিত ছিল। এই হাম্মামখানা ৪ গম্বুজবিশিষ্ট। পাশেই একটু দূরে পুকুর লক্ষ করা যায় বর্তমানে যত্নের অভাবে প্রায় মলিন।
হাম্মামখানায় গোসল করার জন্য বড় বড় দুটি চৌবাচ্চার ব্যবস্থা ছিল। হাম্মামখানা টি ইটের সুরকি ও চুন মিশ্রিত এক ধরনের রং দিয়ে ভিতরে বাহিরে রং করা। এর ভিতর আলো বাতাস এর জন্য বেশ কিছু ছোট ছোট খাঁজ কাটা খোলা অংশ আছে। ভেতরের দেওয়ালে প্রদীপ রাখার জন্য দেয়াল কেটে ছোট ছোট তাক করা আছে।
বর্তমানের ন্যায় প্রযুক্তিগত আধুনিক না হলেও সে সময় কূপ হতে পানি নিয়ে হাম্মামখানার উপরের চৌবাচ্চায় জমা করা হতো আর সেখান থেকে নলের মাধ্যমে ভিতরে পানি সরবরাহ করা হতো। হাম্মামখানা এর সাথে লাগানো একটি সুরঙ্গ পথ আছে যেটি দিয়ে পাশেই অবস্থিত তোষাখানায় যাওয়া যেত।
অবস্থান :
এটি বাংলাদেশের যশোর জেলা শহর থেকে ৪৩ কিলোমিটার দূরে কেশবপুর উপজেলার মির্জানগর নামক গ্রামে অবস্থিত।
কিভাবে যাবেন :
যশোর শহর থেকে কেশবপুর উপজেলা ৩৬ কিলোমিটার পথ। বাস বা সিএনজি যোগে এক ঘণ্টার মতো সময় লাগে আর ভাড়া পড়বে ৪০-৫০ টাকার মতো। কেশবপুর উপজেলা থেকে মীর্জানগর হাম্মামখানা ৭ কিলোমিটার পথ।