জেলা প্রতিনিধিঃ রাজনৈতিক সংঘাত প্রতিটিদেশের যেন নিয়মিত একটি প্রক্রিয়া যা একটি ব্যাধিতে পরিনত হতে চলেছে। কখনো বাড়ছে আবার কমছে রাজনৈতিক সংঘাত এমন একটা বিষয় যেখানে আমাদের জীবন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। সংঘাত বৃদ্ধি হলে স্বাস্থ্য জীবনের ঝুঁকি সহ সকল বিধিনিষেধ আপনা আপনিই চলে আসে।
ব্যাপকভাবে জনসমাগম মিছিল-সমাবেশ ইত্যাদি ইত্যাদি হতে থাকে এবং হয়। বর্তমান রাজনৈতিক সংঘাতে কোন নেতারই এখনো করুণা হয়নি তাই যদি হতো পুলিশের টেয়ারসেল নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের আহত করা হতো না। অন্তত ভাবা উচিৎ শিক্ষা ধ্বংস হচ্ছে এটাকে একটু ছাড় দেওয়া দরকার জীবন বাঁচাতে সাবধানতা জীবন সাজাতে শিক্ষা, জাতি শিক্ষিত না হলে জীবন থেকে যায় মূর্খতায়। তবে এটা সত্য যে বেঁচে থাকলে শিক্ষা অর্জন করা যাবে তার মানে এই নয় শিক্ষা কোন সাগর রুনির বিচার এর ফাইল, যে বারবার তা পরিবর্তন হবে। আমরা সংঘর্ষ বা সংঘাত চাই না আমরা আইন মেনে নিয়মতান্ত্রিকভাবে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা অর্জন করার একটা ব্যবস্থা হওয়া দরকার তবে এমন যেন না হয় বাঁচিয়ে রেখে পরে জবাই এর মত অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের জীবন বাঁচানোর তাগিদে হাসপাতালে, বা মর্গে যেতে না হয়। করোনার কারনে গত দুই বছর আগে মার্চ মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে ছাত্রদের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে অভিভাবক মহোদয় সাধুবাদ জানিয়েছিলেন, আরো ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছিলেন অনলাইনে শিক্ষার ব্যবস্থা করাকে।
এই বছর রাজনৈতিক সংঘাত, দাঙ্গা হাঙ্গামার পরিপেক্ষিতে না জানি কত শিক্ষার্থীর জীবনে কালো মেঘ জমে যাবে, গত ১৮ জুলাইয়ে বগুড়ার ইয়াকুবিয়া উচ্চবিদ্যালয় এর ৮০ জন শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নিতে হলো শুধু রাজনৈতিক সংঘাত এর জন্য, কষ্ট একটাই যখন নিজের টাকায় খরচা করে নিয়মিত পড়াশোনা করছে ঠিক সেই মুহূর্তে স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নিতে হলো।
আসল কথায় আসা যাক স্কুল মানেই শিক্ষা অর্জন করার স্থান বুঝায় তবে কি রাজনৈতিক সংঘাতের কারনে এই ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে যেহেতু স্কুল-কলেজে যথেষ্ট নিরাপত্তার অভাব এই মুহূর্তে অভিভাবকদের মনের অবস্থার প্রেক্ষিতে বলতেই হলো আমরা রাজনৈতিক সংঘাত চাই না, ভয়ে আর আতংকে আতংকিত হয়ে শিক্ষা অর্জন করা যায় না। এমনিতেই শিক্ষার যে অবস্থা তাতে করে একটি বাড়ি একটি স্কুল হওয়া উচিত। স্কুলে গিয়ে যদি ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষতি হয় তবে ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের দায়ভার কার ধৈর্যের সাথে সময়কে বিবেচনা করে সংঘাত মুহূর্তে একটি বাড়ি একটি স্কুল বাবা মা এর জন্য শান্তনা। শিক্ষার্থীদের কাজ শিক্ষা অর্জন করা এজন্য অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের তপস্যা স্বরূপ স্কুলের কথা চিন্তা না করে এখনই লেগে যেতে হবে শিক্ষাকে আয়ত্ত করতে সময়োচিত যথার্থ বীজ বপনের ওপর নির্ভর করে ফসলের সম্ভাবনা তেমনি সময়োপযোগী যথার্থ জ্ঞান অর্জন বা জ্ঞান চর্চা ও কর্মপ্রচেষ্টার ওপর পরিবর্তেনর মাধ্যমে জীবনের সার্থকতার নির্ভরশীলতা। এখনকার এই পরিস্থিতি আগামীতে যেন না হয় এই প্রত্যাশায় বীজ বপনের এই সময়কে রাজনৈতিক সংঘাত এর কারণে হেলাফেলায় অতিবাহিত করা উচিত হবে না যেহেতু ছাত্র জীবন মূল্যবান সমগ্র জীবনের ভিত্তি ভূমি তাই বসে না থেকে পরিবারের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নিজ নিজ বাড়িতে স্কুল আখ্যা দিয়ে প্রত্যেক ছেলে মেয়ের জন্য আলাদা ঘরে আলাদা শ্রেণি করে এখনই এমন স্কুল চালু হওয়া দরকার। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড কথাটি চিরন্তন সত্য মেরুদণ্ডহীন প্রাণী যেমন দাঁড়াতে পারে না ঠিক তেমনি শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি বিশ্বের দরবারে উন্নত শিরে দাঁড়াতে পারে না।
নিত্য যাহা পরিবৃত্ত তাহা অভ্যাস করিবে অভ্যাস করিব বলে রাখিও না আর,
জেনে থাকবে সময় কখনো থেমে থাকে না যারা মন দিয়ে লেখাপড়া করে তারা চিরকাল সুখে থাকতে পারে। আজ নিজ নিজ বাড়ি কে স্কুল মেনে নিজের ঘরকে শ্রেণিকক্ষ ভেবে শ্রমখরচ কর তুমিও লেখাপড়া শিখতে পারবে ভারত বিজয়ী সাহাবুদ্দিন মহম্মদ ঘোরি আজমির প্রদেশ এ অনেক স্কুল মাদ্রাসা স্থাপন করেছিলেন কিন্তু সেখানে তার ক্রীতদাসদের হয়তো পড়ার সুযোগ যথেষ্ট ছিল না তাই তিনি ঘরোয়াভাবে শিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন তার ক্রীতদাসদের মধ্যে যারা শিক্ষিত হয়েছিলেন তারা হলেন দিল্লির প্রথম সুলতান বাদশা কুতুবউদ্দিন, বঙ্গবিজেতা বখতিয়ার খলজি অন্যতম, তারা আজ ইতিহাসে অমর। একটি বাড়িতে কোন শিশু জন্ম হলে তার এই জন্মানোর পর থেকে শিক্ষা শুরু হয় শিশুর আপন পরিবেশে বয়স্ক মানুষেরা এই শিক্ষাদান করে থাকেন তাই বলাই যায় পরিবার হলো শিশুর প্রথম বিদ্যালয়। এই নীতি মেনে নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় শিশুকে বুঝিয়ে পড়াতে হবে জীবন সাজাতে পরিবার ভিত্তিক একটি বাড়ি একটি স্কুল সাজিয়ে শিক্ষার ব্যবস্থা কোন অংশে কম নয়। জীবনের অমূল্য ধন স্বাস্থ্য সুস্থ থাকার অপর নাম স্বাস্থ্য যেহেতু রাজনীতি মানেই ক্ষমতার লোভ আর এজন্য সংঘাতের সৃষ্টি হয় যেখানে ঝুঁকি আছে সেখানে বেঁচে থাকার কোনো নিশ্চয়তা নেই, কি দরকার আমাদের এই কচিকাঁচাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া বেঁচে থাকলে শিক্ষা অর্জন করা যাবে।
তবে এটাও সত্য যে সম্রাট নেপোলিয়ন এর ভাষায় টাইম ইজ এভরিথিং অর্থাৎ সময় ই সবকিছু শত মাথা কুটে মরলেও অতীত হওয়া সময়কে ফিরে পাওয়া যায় না, যেহেতু জানতে হলে পড়তে হবে তাই নিজ ঘরে বসে নিজের মত করে ছাত্রছাত্রীদের উচিত নিজের বাড়ি নিজের স্কুল ভেবে পড়াশোনা করা। অধ্যাবসায় হলো মানুষের অন্যতম চারিত্রিক গুন, গুন বিবেচনায় আজই পরিবারভিত্তিক নিজ বাড়িতে স্কুলের কার্যক্রম পরিচালিত করতে হবে। সবচাইতে বেশি যে বিষয়টা কাজ করে সেটাই হলো অধ্যাবসায়, উশৃংখল জীবন কখনো সুখের হয় না শিক্ষাক্ষেত্রে পরিবারের মধ্যে ছাত্রকে হতে হবে সুশৃংখল তবে জীবন সুন্দর হবে। বুদ্ধি হীন মানুষ পাগল, কমবেশি সবারই বুদ্ধি আছে.