প্রেস বিজ্ঞপ্তি
ঢাকা, ১৯শে সেপেম্বের, ২০২৩ - ১০ম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার-২০২৩ এবং বাংলদেশ ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট সামিট-২০২৩ আয়োজন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মো: রাহাত আনোয়ার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত অতিরিক্ত সচিব জনাব মনোজ কুমার রায়, মঞ্চে ছিলেন বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) এর প্রেসিডেন্ট জনাব শিবলুল আজম কোরায়েশি, ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ট্রিয়াব) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব খবিরউদ্দিন আহম্মেদ, টাইটেল স্পন্সর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক জনাব সিদ্দিকুর রহমান, মেলার ব্যাংক র্পাটনার- ইস্টার্ণ ব্যাংক পিএলসির প্রতিনিধি জনাব সানিমুল হক ভূঁইয়া, হসপিটালিটি পার্টনার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার জনাব অশনি নায়ার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জনাব জিয়াউল হক হাওলাদার, পাবলিক রিলেশেন্স ম্যানজোর, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এবং পর্যটন শিল্পের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এই মেলা ও সামিটকে বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এবং অনুষ্ঠানের টাইটেল স্পন্সর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স -এর মতো সম্মানিত সংস্থাগুলি সার্বিকভাবে সমর্থন করছে। এই সমর্থন পর্যটন শিল্পের প্রচার এবং বাংলাদেশকে একটি উদীয়মান ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে দেখানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতির একটি অংশ। হোটেল ইন্টার-কন্টিনেন্টাল ঢাকা এই বছরে হসপিটালিটি পার্টনার হিসেবে হাত মিলিয়েছে এবং অতিথিদের আপ্যায়নের অংশীদার হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মো: রাহাত আনোয়ার, বলেন, “আমি এই মেলার সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছি। এই মেলা বাংলাদেশের পর্যটন প্রসারে যে ভূমিকা পালন করে আমরা তার সঙ্গে আছি। সবাইকে এই মেলায় আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।“
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত অতিরিক্ত সচিব জনাব মনোজ কুমার রায় তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমরা এটিএফ ঢাকা মেলা সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য সব রকম সহায়তা করছি এবং আমরা চাই এই মেলার মাধ্যমে বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পে অনেক দূর এগিয়ে যাক। ইউএনডাবলুটিও-র এবছরের থিম মেনে আমরাও বলছি, “পর্যটনে পরিবেশ বান্ধব বিনিয়োগ”কে ফোকাস করা হোক। সবার সাথে দেখা হবে মেলায়।“
১০ম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার (এটিএফ) এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট সামিট (বিটিডিএস)-২০২৩ এর পক্ষ থেকে আমরা বলতে চাই আপনারা জানেন, প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য্যমন্ডিত ও বৈচিত্র্যময় বাংলাদেশও হতে পারে দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় ভ্রমণ গন্তব্য। এজন্য দরকার যথাযথ পদক্ষেপ সমন্বিত সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ ও আন্তরিক প্রচেষ্টা।
“মুজিব’স বাংলাদেশ”-এর চলমান উদযাপনের সাথে সঙ্গতি রেখে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি)-তে, এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারের ১০ম সংস্করণের আয়োজন হতে চলেছে, যা ইতিমধ্যেই পর্যটন জগত এবং এশিয়ার ভ্রমণ ক্যালেন্ডারে একটি অন্যতম প্রধান জায়গা অর্জন করে নিয়েছে। গত নয় বছরে এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার, এই অঞ্চলের ভ্রমণপিপাসু মানুষ, শিল্প ও পর্যটন পেশাদারদের একত্রিত হওয়ার জন্য একটি প্রধান প্ল্যাটফর্ম হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ২১ থেকে ২৩শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে হতে যাওয়া এই বছরের এটিএফ ১০ম বার্ষিকী উদযাপন করার কারণে আরও আকর্ষণীয় হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। মেলা চলবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। মেলায় প্রবেশমূল্য ৩০ টাকা, কিন্তু অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করলে ছাত্রছাত্রীদের কোনও প্রবেশ মূল্য লাগবে না। তবে প্রবেশ টিকিটের বিপরীতে সবার জন্য রয়েছে র্যাফেল ড্র এবং আকর্ষণীয় পুরস্কার।
মেলার উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, জনাব মাহবুব আলি, এম পি; বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জনাব লোকমান হোসেন মিয়াঁ, এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান (সিনিয়র সেক্রেটারি), বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) এবং জনাব মোকাম্মেল হোসেন, সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার ও জনাব মাহাবুবুল আলম, সভাপতি, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
এটিএফ ঢাকা, একটি বার্ষিক পর্যটন মেলা, যা প্রতি বছর ন্যাশনাল ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন (এনটিও), ট্রাভেল এজেন্ট, ট্যুর অপারেটর, ডেস্টিনেশন ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি (ডিএমসি), এয়ারলাইন্স, ক্রুজ কোম্পানি, বিদেশী দূতাবাস এবং বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ভ্রমণ অ্যাসোসিয়েশনগুলিকে এক ছাদের নিচে একত্রিত করে।
এটিএফ ঢাকার এই বছরের থিম "কানেক্টিং রিজিওনাল ট্যুরিজম", পর্যটন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা বিনিময়, সীমান্তের এপার-ওপার সংযোগ স্থাপন এবং আঞ্চলিক পর্যটন জোট গঠনের গুরুত্বের উপর জোর দিচ্ছে।
মেলার পাশাপাশি স্থানীয় পর্যটনের গুরুত্ব অনুধাবন করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম ডেভলাপমেন্ট সামিট (বিটিডিএস) ২০২৩-এ, নানান সেমিনার এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য -
Investment Opportunities in Tourism, Emerging Trend of Smart Tourism, Responisble Initiative for the Sustainability of Future Tourism, Future Skills Jobs and Entrepreneurship in Touirsm - এছাড়াও প্যারালাল সেশনের ফোরাম ডিসকাশনে থাকবে পর্যটন বিষয়ক স্টোরি টেলিং, ক্যারিয়ার গাইডেন্স, প্রফেশনাল টক ও ইনভারমেন্টাল ক্লিনিক।
এটিএফ ঢাকার সমাপনী শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়; সংযোগ, সহযোগিতা, প্রাপ্তি এই সমস্ত কিছুর একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রতিফলন। অংশগ্রহণকারী সবাই শেষ দিনে একত্রিত হয়ে এর গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোকপাত করবেন এবং আগামী সুযোগ ও পরিকল্পনাগুলির সু-পরামর্শ দেবেন।
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি ব্যাংক এবারের মেলার ব্যাংক পার্টনার। স্ট্রাটেজিক পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিআইডিএ) এবং স্কিল পার্টনার হিসেবে ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনএসডিএ) অংশগ্রহণ করায়, মেলার আয়োজক পর্যটন বিচিত্রা পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত ও বাধিত। আরও আছে, এটিএফ-এর এই ১০ম সংস্করণে ইনোভেশন পার্টনার a2i (আইসিটি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার) যার সহযোগিতায় স্মার্ট ট্যুরিজম নিয়ে আলোচনা আয়োজন করা হবে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভ্রমণ মেলা হিসেবে, এটিএফ ঢাকা পর্যটন মানচিত্রে একটি বড় জায়গা নিয়ে আছে। পর্যটকরা লোভনীয় ভ্রমণ গন্তব্য, অনন্য অভিজ্ঞতা এবং বিশেষ ভ্রমণ প্যাকেজের বিষয় সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাবেন। কোলাহলপূর্ণ শহর থেকে নিরিবিলি সৈকত, ঐতিহাসিক স্থান থেকে আধুনিক আকর্ষণ - ভ্রমণের প্রতিটি দিককে ভালো ভাবে তুলে ধরবে এবারের মেলা।
এটিএফ ঢাকা, বাংলাদেশ, ভারত, চীন, নেপাল, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম এবং দুবাই সহ একাধিক দেশের ১৫০টি পর্যটন সংস্থার অংশগ্রহণের জন্য গর্বিত, যা এই মেলার আঞ্চলিক ব্যাপ্তি এবং প্রভাবের প্রতিফলন। বি.টু.বি ব্যবসার পাশাপাশি পর্যটকদের জন্যও এখানে বিভিন্ন প্যাকেজ, ডিসকাউন্ট এবং অফার থাকবে।
এই মেলার অন্যতম সেরা আকর্ষণ হল শিশুদের অংশগ্রহণ, কারণ তারাই ভবিষ্যতের পর্যটক। শিশুদের উৎসাহ দিতে প্রতি বছর মেলায় একটি বড় আকারের অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এবারেও তার কোনও ব্যতিক্রম নেই।
১০ম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার উদযাপনের জন্য বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শক, প্রদর্শক এবং উৎসাহীরা ঢাকায় জড়ো হচ্ছেন। আমাদের কোভিড পরবর্তী জীবনে এবারের মেলা কেবল অতীতের উদযাপন নয় বরং পর্যটনের ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হতে চলা একটি Blue Print, যেখানে যোগাযোগ, এবং আদান প্রদানের মাধ্যমে পর্যটনের নতুন দিগন্ত প্রসারিত হবে।
এ বছরের মেলায় মোট ১৫০টি পর্যটন প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। যার মধ্যে ৫০টির অধিক বিদেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মেলার প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা, প্রবেশ কূপণের বিপরীতে র্যাফেল ড্র বিজয়ীদের জন্য থাকবে এয়ারলাইন্স টিকিটসহ বেড়ানো আকর্ষণীয় Gift Voucher। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য থাকছে অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন করলে এন্ট্রি ফি সম্পূর্ন ফ্রি।
বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণকে দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে আরো জনপ্রিয় করা এবং আঞ্চলিক পর্যটন শিল্পের সাথে সেতু বন্ধন করাই এই মেলা আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য। কিন্তু সাংবাদিক বন্ধুদের সহযোগিতা ছাড়া এই আয়োজন কোনভাবেই সফল করা সম্ভব নয়। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুদের সহযোগিতায় ‘১০ম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার-২০২৩’ এবং ‘বাংলাদেশ ট্যুরিজম ডেভলাপমেন্ট-২০২৩’ সামিট আয়োজনের মধ্যে দিয়ে দেশের প্রতিটি দর্শনীয় স্থানে ছড়িয়ে পড়বে পর্যটকদের আনন্দ মিছিল।
পরিশেষে আসন্ন ১০ম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার ২০২৩ এর সাফল্য কামনা করে আগামি ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ ঘটিকায় ১০ম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আপনাদের সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি।