আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বাংলা চলচ্চিত্রের এই ক্ষণজন্মা নায়ক সালমান শাহ এর মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উদ্যোগে এফডিসিতে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।দোয়া মাহফিলে প্রয়াত সালমান শাহ ছাড়াও এই মাসে অন্যান্য যেসব শিল্পীর মৃত্যু হয়েছে তাদের সকলের জন্য দয়া করা হয়।দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, সাধারণ সম্পাদক নায়িকা নিপুণ আক্তার,সদস্য নায়ক ফেরদৌস,অভিনেত্রী জেসমিন আক্তার,অভিনেতা যাদু আজাদ,সীমান্ত সহ সমিতির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।দোয়া মাহফিলে প্রায় ২০০ জন উপস্থিত ছিলেন।দোয়া পরিচালনা করেন এফডিসির মসজিদের খতিব।
সালমান শাহ। ধুমকেতুর মতো এসেছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের মোড় ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য। চলচ্চিত্র ব্যবসায় সুবাতাস বয়ে দেয়ার জন্য। সুপার-ডুপার হিট ছবি চলচ্চিত্রশিল্পকে উপহার দেয়ার জন্য। লক্ষ-কোটি সিনেমাদর্শকদের মন জয় করার জন্য। তরুণ-তরুণীদের হৃদয় হরণ করার জন্য।
১৯৭১ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন ক্ষণজন্মা এই নায়ক। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে মডেলিংয়ের মাধ্যমে টেলিভিশনের পর্দায় অভিষেক। তবে ব্যাপক পরিচিতি পান নব্বইয়ের দশকে, চলচ্চিত্রাঙ্গণে পা রাখার মধ্য দিয়ে। ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মাধ্যমে রূপালি ভুবনে যাত্রা শুরু।
প্রথম ছবির সাফল্যেই রাতারাতি তারকা বনে যান সালমান শাহ। ঝড় তুলেন দর্শক হৃদয়ে। একে একে উপহার দিতে থাকেন সুপারহিট সব ছবি। জীবন সংসার, তোমাকে চাই, অন্তরে অন্তরে, দেনমোহর, মায়ের অধিকার, আশা ভালোবাসা, প্রিয়জন, স্বপ্নের নায়ক, স্বপ্নের ঠিকানা, সত্যের মৃত্যু নেই সহ ২৭টি ছবিতে অভিনয় করেন। হয়ে উঠেছিলেন তরুণ-তরুণীদের হার্টথ্রব।
নব্বইয়ের দশকে ফ্যাশন, স্টাইল আর নজরকাড়া অভিনয়, সবমিলিয়ে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেন তিনি। তবে ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় হঠাৎ কালো ছায়া নেমে আসে বাংলাদেশের চলচিত্রের আকাশে। খবর আসে, সালমান শাহ আর নেই।
১৯৯৬ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর রহস্যময় মৃত্যু ঘটে বাংলাদেশের চলচিত্রের আকাশে জ্বলে উঠা উজ্জ্বলতম নক্ষত্রের। যে খবরে শোকের ছায়া নেমে আসে ঢাকার চলচিত্রাঙ্গণে। রাজধানীর ইস্কাটনের বাসায় ৬ই সেপ্টেম্বর সকালে পাওয়া যায় সালমানের নিথর দেহ। মাত্র ২৫ বছর বয়স আর সাড়ে ৩ বছরের ক্যারিয়ার, রহস্যময় এক মৃত্যুর মধ্য দিয়ে থমকে দাঁড়ায় সব।