টিউলিপের সময় জুলাই না, তা জেনেও পছন্দের শহর হিসেবে সেখানে যাওয়া। তবে আমার কতকটা সপ্ন ভংগ হয়েছে! সে কথায় পরে আসছি। শুরু করি ভালোলাগা দিয়ে। এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে দেখি সেমন্তি অপেক্ষা করছে! তার হাত ধরেই হোটেলে ঢুকলাম! নুতন কোন দেশে কেউ না থাকলে সত্যিই খুব ঝামেলায় পড়তে হয় তাতে আবার এখন সব ই সেল্ফ সার্ভিস। বুঝে উঠাও কঠিন। হোটেলে উঠার পর পর ই বুঝতে পারলাম গা কাপিয়ে জর আসছে। আমি আর বাইরে গেলাম না। সুপ্রিতি, সেমন্তী আর মুনির গেলো। জরের ঘোরে বেশ রাতে টের পেলাম মেয়ে আমার খাওয়া নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কি এক অদ্ভুত মায়া ছিলো সেই মুখে তাই আমি আর না করলাম না। খেয়ে এক ঘুম দিলাম।
পরদিন ক্যানেল দিয়ে শহর ঘোরা! শুরুতেই ধাক্কা খেলাম একি পানির অবস্থা? বুড়িগংগার থেকে কোন অংশেই কম না, কিছুটা গন্ধ ও পেলাম। এই ভাবেই শহরের খানিকটা দেখা হলো। তারপর ভ্যানগগ আর আনাফ্রাং এর মিউজিয়াম। এই জায়গাগুলো দেখেছি বলেই মনে হয় ময়লা ক্যানেলের কথা ভুলতে পারা সহজ হচ্ছে।। রাতে দল বেধে রেড জোনে গেলাম। মেয়েরা যখন বাক্সবন্দী পুতুল তখন চোখে পানি আসে বৈকি! এই সব মিলিয়ে কেমন যেন লাগলো এই শহর টা কে। মনে হয়নি আর কখনো কোন কারনে ফিরবো সেখানে। টিউলিপের জন্য বের হব অন্য কোথাও!!!!!!!!!!!!