বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২৫

স্মরণ -নাট্যব্যক্তিত্ব সাঈদ আহমদ

  • মেসবা খান
  • ২০২৫-০১-২১ ২০:১৬:১৯

সাঈদ আহমদের জন্ম ১৯৩১ সালের ১ জানুয়ারি পুরান ঢাকার ইসলামপুরের এক সম্ভ্রান্ত শিল্প ও সংস্কৃতিমনা পরিবারে। 
তিনি ঢাকার ঐতিহ্যবাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৯৪৬ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন।
১৯৪৯ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। 
১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর করে ব্রিটেনে যান।
১৯৫৬ সালে লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি লাভ করেন। 
সাঈদ আহমদ সেই বাংলাদেশি নাট্যব্যক্তিত্ব, যাকে বাংলা নাটকে আধুনিক নাট্যধারার প্রবর্তক বলে বিবেচনা করা হয়। 
নানামুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন তিনি। ষাটের দশকে ইংরেজি ভাষায় 'দি থিং' শীর্ষক নাটক রচনার মাধ্যমে তিনি বাংলা নাটকে ইউরোপীয় প্রতীকীবাদী নাট্যধারা প্রবর্তন করেন। কালবেলা, মাইলপোস্ট, এক দিন প্রতিদিন, শেষ নবাব ইত্যাদি তার বিখ্যাত নাটক।
সাঈদ আহমদ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন সদস্য ছিলেন। 
১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ সরকারের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 
তিনি ১৯৯০ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ও নাট্যকলা বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। 
পড়িয়েছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শিল্পকলা বিষয়ে।
বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। 
তাঁর সম্মানে ১৯৭৬ সালে ওয়াশিংটন ডিসির প্রখ্যাত নাট্যশালা 'এরিনা স্টেজ' এর দর্শকের আসনের একটি সারি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়।
১৯৮৩ সালে জার্মানির বার্লিন টিভি ড্রামা উৎসবে তাঁকে 'প্রিক্স ফিউচুরা' পদক দেওয়া হয়। 
তিনি ১৯৯৩ সালে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ সম্মানজনক পুরস্কার 'লিঁজিও দো অনার' লাভ করেন।
বাংলাদেশের নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় ১৯৯৬ সালে তাঁকে 'দক্ষিণ এশিয়া পদক' প্রদান করে। 
১৯৯৭ সালে তিনি 'মুনীর চৌধুরী পদক' লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ভূষিত হয়েছেন দেশি বিদেশি অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায়।
২১ জানুয়ারি ২০১০ সালে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। শ্রদ্ধাঞ্জলি।
 

 


এ জাতীয় আরো খবর