ঘৃনা -- হ্যা বড়ই রহস্যময়!
ঘৃনার অপজিটেই থাকে প্রবল প্রেম।
তোমায় কি আমি ঘৃনা করি ?
নাকি ভালোবাসি?
বহুবার প্রশ্ন করেছি নিজেকে।
জবাব খুঁজে পাইনি,
তুমি অমীমাংশিত অংক হয়েই রইলে।
কিছু মানুষকে প্রচন্ড রাগ ঘৃনার মধ্যেও
শর্তবিহীন ভালোবেসে যেতে হয়,
বাসতে বাধ্য হতে হয়।
অনীহা স্বর্তেও তাকে এক পলক
দেখতে ইচ্ছে হয়।
হঠাৎ হঠাৎ বুকের গহীন থেকে
তার জন্য দির্ঘস্বাস বের হয় অযান্তেই।
ভাবি, তোমাকে আর দেখতে চাইনা
অথচ অসম্ভব রকমের দুর্বার টানে
মুহুর্তের জন্য চোখের আড়াল করতে পারিনা।
তাইতো তোমাকে সামনে রেখে
এখন আমি বিশ্বজয়ী
" এডলফ হিটলারকে "
ভালোবেসে ফেলেছি।
তোমাকে আবিষ্কার করতে যেয়ে,
হিটলারকে খুঁজে পেয়েছি।
ওর নিজ প্রেমিকার প্রতি যত্ন,
ভালোবাসার আকর্ষণ,
আর আগলে রাখার গল্পটায় হারিয়ে গেছি।
দেখেছি হিটলার বিশ্বজয়ের নেশার মধ্যেও
প্রেমের নেশায় মাতাল ছিলো।
কখনও কখনও নিজেকে খুঁজে পাই
লোভী, ক্ষুধার্ত, হিংস্র, পশুর মধ্যে ।
সে ক্ষুধা ভালোবাসার লোভ,
সে হিংস্রতা কাছে না পাওয়ার।
কখনও কখনও
প্রোভিটামিনে ভরা অন্য
প্রেম কাহিনি শুনে আবেগি মনটা
হুহু করে ওঠে দির্ঘস্বাসের বুকের পাঁজর।
তুমি আমার জন্য না হয় হিটলারই হতে।
কেনো তুমি শাজাহান হতে গেলে?
আমি তো চাইনি তাজমহল!
তুমি স্বার্থপরের মতো
করলে বিসর্জন, সোনার পিঞ্জিরায়।
হায় ! আমি তো চেয়েছিলাম সহমরণ,
তোমাকে সাথে নিয়ে।
৬০ লক্ষ ইহুদি মেরেও
হিটলার হয়েছে বিশ্ব প্রেমিক।
তুমি কি করেছো? খুন করেছো
আমার সব স্বপ্ন, আশা, আকাঙা,
তাইতো আমি ইভাব্রাউন কে ঈর্ষা করি,
ঘৃনা করি ওর ভাগ্যকে।
হ্যা তাই, আমি খুব হিংসুটে,
ওমন ভাগ্য কে না চায়!
তুমি যদি ওমন করে আমায় ভালোবাসতে,
তাহলে আমি পৃথিবীর সব সুখ
তোমায় এনে দিতাম।
তোমার প্রেম দাসত্বের শৃঙ্খলে
নিজের জীবনটাকে সহমরণের আগুনে
স্বসজ্জায় তুলে দিতাম।
তুমি তা হতে পারোনি!
তাই আমারও আর
ইভা ব্রাউন হয়ে উঠা হলোনা।