রবিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৫

পা র মি তা চ্যা টা র্জী

  • কোথায় বিচার
  • ২০২৪-১২-০৬ ২৩:৪৭:২৫

কবি তোমার কলমের কালি কি শুকিয়ে গেছে! 
তোমার লেখার পাতা কি ছিঁড়ে গেছে!
তুমি কি শুধুই নারীর চোখের রহস্য খুঁজে বেড়াও?
তুমি কি সত্যি ছুঁতে চাওনা নারীর মনকে? 
যদি চাও, তবে আজ তোমার কলম নীরব কেন কবি! 
যে নারীর সৌন্দর্যে তুমি মুগ্ধ হয়ে কবিতা লেখ, 
যে নারীর সদ্য স্নাতা শরীরের ছবি উঠে আসে তোমার কলমে, সে নারীর আর্তনাদ কেন শুনতে পাওনা! 
কেন দেখতে পাওনা আজও যে জ্বলন্ত সতী দাহ চলে আসছে আরও নির্মম ও পৈশাচিক রূপ নিয়ে। 
হায় রে দূর্ভাগা নারী, তোমরা ভাবো তোমরা স্বাধীন হয়েছ, 
কিন্তু এখনও তোমরা পুরুষের লালসার শৃঙ্খলে বন্দী, 
তাই অসহায় নারী আজও পথে লুটায় সম্মানহীন লজ্জায়, তাদের নিরাভরণ দেহ ভেসে যায় রক্তের প্লাবনে, 
বিচারের নামে চলে শুধু প্রহসন। 
তোমরা কি শুনতে পাওনা!  এখনও কেঁদে চলেছে নির্ভয়াদের আত্মা, 
এখনও প্রিয়ঙ্কাদের মতন উজ্জ্বল নারীদের রক্তাক্ত ধর্ষিত প্রাণহীন দেহ লুটিয়ে পড়ে মাটিতে, 
তোমরা কি শুনতে পাওনা কবি নারীদের এই অসহায় কান্নার শব্দ, 
তোমরা কি এর বিচার চাইতে নামবে না পথে! 
এই কি সভ্য সমাজের চিত্র!
এ যদি চিত্র হয় তবে চাইনা এমন সমাজ, 
যে সমাজ পারেনা একটি নারীকে তার সুরক্ষা দিতে,
যে সমাজ প্রতিবাদী নারীদের মুখ চেপে ধরে নিয়ে যায় কারাগারে সে সমাজ ঘৃণ্য। 
চল নারী আমরা খুঁজি আমাদের ঘাতকদের, 
যে সমাজে একটা নির্মম ধর্ষেনের বিচারে কাটিয়ে দেয় বছরের পর বছর, 
যে সমাজের বিচারব্যবস্থা পঙ্গুত্বের শয্যার শয্যাশায়ী, 
যে সমাজের বিচারব্যবস্থা দুষ্কিতিদের অঙ্গুলহেলনে চলে, 
সে সমাজকে ঘৃণা করে আজকের নারী।
কলম কেনো থমকে কবি তোমার!
কেন গর্জে উঠছেনা এই নৃশংস ভয়াবহতার ছবি তোমার কলমে!  
আমরা মারবো ঘাতকদের আমাদের নিজের হাতে 
বধ করবো অসুরদের যেমন মা দূর্গা করেন,
তুলে ত্রিশূল নিজের হাতে বসিয়ে দেব ঘাতকদের বক্ষে।
বিচারের বাণী যদি কাঁদে নীরবে 
তবে বিচারের ভার তুলে নেবো
আমরা নিজের হাতে।


এ জাতীয় আরো খবর