একজন দ্বীনদারকে চিনি
যাঁর কপালে কালো দাগ পড়েছে সিজদাহ্ ঠুকে
সাদা দাড়িতে নেকির ফোয়ারা ঝরে অবিরাম।
অমিত সম্পদ, প্রভাব-প্রতিপত্তিতে সমাজের একজন
দুই স্ত্রী, সন্তান দশেক, ইহকালের কামিয়াবি তাঁর দখলে।
মসজিদ গড়েছেন নিজের টাকায় বারামখানার মতো
লাখো মানুষের শ্রম ও অর্থ আছে এ নির্মাণে
কিন্তু তারা দাবি করতে পারেন না যতটা তিনি করেন।
নামাজ কায়েম করার তাগিদ দেন নিত্য
নামাজ শেষে হাদিসের ব্যাখ্যা করেন সুললিত সুরে।
উহুদ যুদ্ধের ঘটনা শ্রবণে দুচোখ সিক্ত হয়,
দস্তরখানায় আহার, ডানকাতে শয়ন, মিসওয়াক
সবকিছুতেই তিনি সুন্নতের যথার্থ তাবেদার
আমি ভাবি, তাঁর পরকালও ঝরঝরে।
দান-সদকাও করেন দেদার, দানবীয় বটে
অথচ বিপুল সম্পদের জাকাত দেন না
যাতে আছে এতিম অসহায়ের ন্যায্য অধিকার।
প্রশ্ন জাগে -- জাকাত কায়েম করেন না কেন তিনি ?
এইযে আমি এত গপ্পো দিচ্ছি আল্লাহ্ওয়ালার ---
অমন সম্পদ থাকলে হয়তো আমিও দিতাম না
অপাপ ফেরেস্তার ছদ্মাবরণে
লুকিয়ে ফেলতাম গরিবের ন্যায্য হিস্যা।
প্রকৃত আল্লাহ্ওয়ালার সন্ধানে ব্যাপৃত আছি আমি
কেউ সন্ধান পেলে তাঁর ঠিকানা টা জানাবেন।