নিজেদের সবচেয়ে বড় জয় দিয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ নারী দল।গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৫৪ রানের বিশাল ব্যবধানে সফরকারী আয়ারল্যান্ডকে পরাজিত করেছে বাংলাদেশ। শারমিন আখতার সুপ্তা মাত্র চার রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি।
২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ৩ উইকেটে ২৫০ রান করেছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ১১৯ রানের জয়টি ছিল এত দিন সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়।
ম্যাচে ফিরেই সুপ্তা নিজেকে প্রমান করেছেন। ৮৯ বলে তার করা অনবদ্য ৯৬ রানের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ২৫২ রানের লড়াকু স্কোর পায়। এই ফর্মেটে এটাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান। এরপর বাকি কাজটুকু সেড়েছেন বোলাররা। সুলতানা খাতুন, নাহিদা আখতারদের তোপের মুখে ২৮.৫ ওভারে মাত্র ৯৮ রানেই গুটিয়ে যায় আইরিশদের ইনিংস।
১০০’র ওপরে স্ট্রাইক রেটে ৫০’র বেশী রান করা বাংলাদেশী নারী ব্যাটারদের মধ্যে সুপ্তার ইনিংসটি দ্বিতীয়।
আর সেঞ্চুরি করতে পারলে সেটাও বাংলাদেশী ব্যাটারদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান লাভ করতো।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে মুরশিদা খাতুন ও ফারজানা হক পিংকি মিলে ৫৯ রান সংগ্রহ করেন। ৩৮ রান কর মুর্শিদা খাতুন সাজঘরে ফিরে। অপর প্রান্তে পিংকিও ৬১ রানের দারুন এক ইনিংস উপহার দেন। মুরশিদার বিদায়ের পর সুপ্তা ক্রিজে এসে পিংকির সাথে দ্বিতীয় উইকেটে ১০৪ রানের জুটি গড়ে তুলেন। এইমে ম্যাগুয়েরের এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়ার আগে পিংকি ১১০ বলে ৬১ রান করেন।
অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাট থেকে এসেছে ২৮ বলে ২৮ রান।
৮৯ বলের ইনিংস শেষের আগের সুপ্তা ১৪টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন। জ্যোতিকে আউট করা ফ্রেয়া সার্জেন্টই সুপ্তার উইকেটটিও দখল করেছেন।
স্বর্ণা আকতারের ৯ বলে অপরাজিত ১৩ রানে বাংলাদেশ ২৫০ রানের কোটা পার করে।
সার্জেন্ট ৫১ রানে ২টি ও লরা ডিলানি ও ম্যাগুয়েরে একটি করে উইকেট দখল করেছেন।
জবাবে সুলতানা ও নাহিদার বোলিং তোপে দাঁড়াতেই পারেনি আইরিশ ব্যাটারার। দুজনই তিনটি করে উইকেট দখল করেছেন। এছাড়া মারুফা আকতার নিয়েছেন ২ উইকেট।
মাত্র তিনজন আইরিশ ব্যাটার দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পেরেছেন। ওপেনার সারাহ ফোর্বস করেছেন সর্বোচ্চ ২৫ রান। এছাড়া ডিলানে ২২ ও ওরলা প্রেন্ডারগাস্টের ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ রান।
আগামী শনিবার একই ভেন্যুতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপে সারসরি অংশ নিতে হলে চলমান সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন তিন ম্যাচের সিরিজে তিনটিতেই জয়ী হতে হবে বাংলাদেশকে।